ফেনী প্রতিনিধি: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে ফেনী ০৩ আসনে নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ এ্যাডভোকেট সাহানা আক্তার সানু। সোমবার(২২ ডিসেম্বর ফেনী জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উক্ত মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এডভোকেট সানু ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সোনাগাজী সদর ইউনিয়নের ছড়াইতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
এ্যাডভোকেট সানু জানান, আমার রাজনীতি শুরু ১৯৮৭ সনে সোনাগাজী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের নির্বাচিত ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা হিসেবে এর পর ১৯৯১ সনে ঢাকা বদরুন্নেসা কলেজের জি এস ছিলাম। এর পর কলেজ শাখার ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট ছিলাম। ক্রমান্নয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক নিবর্চিত হই। বিএনপির দুইবার জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলাম এবং বতর্মানে ও আছি। দলের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি আমি ও আমার পরিবার। ফেনীর পতিত গড়ফাদার জয়নাল হাজারীর স্টিয়ারিং বাহিনীর নির্মম নিযার্তন ভোগ করতে হয়েছে আমার পিতা ও ভাইদের শুধু আমাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু আমাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। ২০১৪ সালে আমার ঢাকার বাড়িতে ও বেশ কয়েকবার হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এখনো আইনজীবি হওয়ার পরও বহু গায়েবি মামলার আসামী হয়ে কোর্টের বারান্দায় বারান্দায় গুরতে হচ্ছে শুধু বিএনপি করি বলে। এ্যডভোকেট সানু ব্যক্তি জীবনে তিন সন্তানের জননী। তার স্বামীর বাড়ী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলায়। তাঁর স্বামী একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।
উনার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে লন্ডনের স্বনামধন্য একটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে লন্ডনেই একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছে। মেজ ছেলে কম্পিউটার ইন্জিনিয়ার। সে ইউ এস বাংলায় জব করছে । ছোট ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষে পড়শোনা করছে।
অবহেলিত ফেনী ০৩ আসনের জনগনের নায্য দাবী দাওয়া মহান জাতীয় সংসদে তুলে ধরার জন্য ও এতদ অঞ্চলের জনগনের মুখে হাঁসি ফুটানের জন্য তিনি প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান। আর বিশেষত মহিলাদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য কাজ করতে তিনি বেশী আগ্রহী। এরই ধারাবাহিতায় তিনি গত ২০০১ ও ২০০৬ সালে দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছেন তবে সেবার সোনাগাজী সাবেক মরহুম এমপি মোশাররফ হোসেন কে সমঝোতার ভিত্তিতে তিনি সমর্থন করে প্রার্থিতা ছেড়ে দেন। এবার যেহেতু তিনি নেই তাই তাঁর ঐ সময়ের সেক্রিপ্রাইজদল মূল্যায়ন করবে বলে তিনি মনে করেন।